ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয় - কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪

মুসলিম ভাই ও বোনেরা জানতে চাচ্ছিলে ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বা এক কথায় কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪। আর্টিকেলে থাকছে এর সাথে আরো কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়, কুরবানী ঈদের আর কতদিন বাকি আছে ২০২৪ ইত্যাদী তথ্য পেতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ

মুসলিমদের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর সামনে আগত ঈদুল আযহা আর বেশিদিন নেই। কুরবানি ঈদ কবে এটি জানার আগ্রহ আমাদের সেই ঈদুল ফিতর এরপর থেকেই থাকে আমরা জানি ঈদুল ফিতরের আড়াই মাস পরে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ঈদ এর একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিবছর একই সময় ঈদ পালন করা হয় যেমনটা শাওয়াল মাসের এক তারিখে রোজার ঈদ পালন করা হয় আপূর্বের একমাস রমজান মাস পুরোটাই রোজা রাখা হয়। ঠিক তেমনভাবেই জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানী ঈদ পালন করা হয়। ঈদুল আজাহাই কোরবানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত এটি ১০ ১১ ১২ তারিখ পালন করা হয়।

ঈদ অনুষ্ঠিত হয় সাধারণত সৌদি আরব দুবাই কাতার ইত্যাদি দেশের পরের দিন।কিন্তু ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠিত হয় জিলহজ্ব মাসের ১০-১১-১২ তারিখ এবং তাদের জিলহজ মাসের ১০ তারিখ বাংলাদেশের ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জুন মাসের ১৭ তারিখ। বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য জানিয়েছেন যে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪

মুসলিমদের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর সামনে আগত ঈদুল আযহা আর বেশিদিন নেই।কিন্তু কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ এটি সম্পুর্ন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল যদি চাঁদ সৌদি আরবের দেশের সাথে দেখা মিলে যায় তবে সেই দিনই ঈদ অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু সাধারণত সৌদি আরবের ঈদের দিনের পরের দিন বাংলাদেশের চাঁদ দেখা যায় এবং ঈদ উৎসব পালন করা হয়।

ধারণা করা হয়েছে জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ অনুযায়ী ইংরেজি ক্যালেন্ডার এ ১৭-১৬ তারিখ হয়।জিলহজ্ব মাসের ১০-১১-১২ তারিখ বাংলাদেশে ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দেখা গিয়েছে আগামী ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ইসলাম ধর্মের দ্বিতীয় উৎসব ঈদুল আযহা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যগণ।

কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

জীবিকা নির্বাহ খরচ ছাড়াও অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ বা নির্দিষ্ট টাকার মালিক বা সম সম্পদ পরিমাণ স্বর্ণ বা রূপ্য থাকলে একজন মানসিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীরবছরের জিলহজ্ব মাসের ১০-১১-১২ তারিখ পশু জবাই বা কুরবানী করা আবশ্যিক হয়ে ওঠে।ঈদুল আযহায় আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে আনয়াম শ্রেণীর পশু জবাই যেমন উট গরু ভেড়া ছাগল দুম্বা আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী জবাই করাকে কুরবানী বলে ঈদুল আযাহা ইসলামের দ্বিতীয় উৎসব এবং কুরবানী একটি নিদর্শন। ঈদের দিন কোরবানি করতে না পারলেও এর দুই দিন অর্থাৎ 11 ও 12 তারিখে কুরবানী ইসলামের বিধান রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল কোরবানি করা কি ফরজ নাকি ওয়াজিব নাকি সুন্নত ?

উত্তর কুরবানী করা ওয়াজিব।

প্রথম মত: কুরবানি ওয়াজিব। ইমাম আওযায়ী, ইমাম লাইস, ইমাম আবু হানীফা রহ,ইমাম মালেক ও ইমাম আহমদ রহ.বর্ণিত রয়েছে কোরবানির ওয়াজিব.

দ্বিতীয় মত: কুরবানি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। অধিকাংশ আলেমের মতে ইমাম মালেক এর মতে কুরবানি সুন্নত।যারা কুরবানি কে ওয়াজিব বলে দাবি করেন তাদের প্রমাণাদি অধিকতর শক্তিশালী থাকায়কুরবানী ওয়াজিব হবে বড় বড় ইমাম এরা কুরবানি সুন্নাত দাবি করে থাকেন।

ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়

একটি হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে
 ‘যে ব্যক্তি ঋণ করার পর মনে মনে সঙ্কল্প করে রাখে যে, সে ওই ঋণ পরিশোধ করবে না, তবে সে আল্লাহর সাথে চোর হয়ে সাক্ষাৎ করবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪১০)

কোন ব্যক্তি যদি নিশাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে থাকে কিন্তু যদি ঋণগ্রস্ত হয় তবে তার কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব কিনা তা ওই ব্যাক্তির আর্থিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে।ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদ কোরবানির সময় না থাকলে ঐ ব্যক্তির জন্য কোরবানি আবশ্যক নয় কিন্তু যদি ঋণ পরিশোধ করার পরেও কোরবানির সময় সমসাময়িক ভাবে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন তবে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য কুরবানী আবশ্যক হবে।

কোরবানি না দিলে কি গুনাহ হবে

কুরবানি করা বাধ্যতামূলক এটি অনেকেই ভেবে বসে থাকেন কিন্তু ইসলাম কারো ওপর জোর খাটায় না।কারো যদি হিসাব পরিমাণ অর্থ অর্থাৎ সাড়ে সাত ভরি সোনা ও ৫২ তোলা রুপা বা বর্তমান বাজারের হিসাবে ৫০হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা না থাকে তবে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।কুরবানি ওয়াজিব কিন্তু ওই ব্যক্তির উপর নয় যার জিলহজ মাসের ১০-১১-১২ তারিখ নির্ধারিত পরিমাণ টাকার মালিক হয়নি এতে তার কোন গোনাহ হবে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন:—

                                                        «من وجد سعة ولم يضح، فلا يقربن مصلانا ». رواه أحمد وابن ماجه، وصححه الحاكم.
‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে না আসে।’
(মুসনাদে আহমদ, মুসতাদরেকে হাকেম)

আরো কাছে যদি কোরবানি করার মত সামর্থ্য থাকে তবে তাকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে এবং এটি তার ওপর ওয়াজিব। এবং ওয়াজিব ভঙ্গ করলে সেটি কবিরা গুনাহ হয়। নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার মাধ্যম হিসেবে এই কুরবানী করা ওয়াজিব করেছেন কুরবানী একটি আর্থিক ইবাদত এবং সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর আবশ্যিক।

কোরবানি ঈদের আর কতদিন বাকি আছে ২০২৪

ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এ হচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তরে ঈদের আর বেশিদিন নেই আগামী মাসের অর্থাৎ জুন মাসের ১৭ তারিখ দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য জন তবে পুরোটাই নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর।নিয়ম অনুযায়ী জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ১৬ই জুন অথবা সতেরই জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে ঈদুল আযাহা।

লেখকের মন্তব্য

ঈদ কবে হবে তা পুরোটাই নির্ভর করে চাঁদ দেখার উপর তবে সম্ভাব্য ডেট ১৬ ও ১৭ তারিখ দেওয়া হয়েছে জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ অনুযায়ী।আশা করি ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ এর সম্পূর্ণ তথ্য আপনি মনোযোগ সহকারে উপভোগ করেছেন যদি ভালো লেগে থাকে তবে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url